নিজের পা দেখে বললেন, ‘‘বাহ, কী সুন্দর!’’
নব্বই মিনিট খেলেও ড্রেসিংরুমে সিট-আপ করতে চাইলেন।
 বুধবার রাতে দেখে মনেই হচ্ছিল না, গত জানুয়ারিতে এই ফুটবলারটিই তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে ব্যালন ডি’অর হারিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর টিমের অন্ধকার ভরা মরসুমে হঠাৎ করেই আশার তীব্র আলো। রিয়াল মাদ্রিদকে ‘লা আনডেসিমা’ জেতার মুখে তুলে আনার পরে ফুটবলবিশ্ব দেখল এক নতুন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে!
ম্যান সিটি ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন সিআর সেভেন। বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, এ রকম হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের পর হাঁফিয়ে ওঠা ফুটবলার এসে শুধুমাত্র কয়েকটা সাদামাঠা কথা বলে চলে যান। কিন্তু রোনাল্ডোর যখন কথা হচ্ছে, তখন তিনি কি আর বাকি সবার মতো? চোট সেরেছে কি না সেই প্রশ্নে সাফ বলে দিলেন, ‘‘আমি জানি না কেন, কিন্তু সবাই মাঝেমাঝেই ভুলে যায় আমার চোট তাড়াতাড়ি সেরে যায়।’’
সতীর্থদের মধ্যে তাঁর প্রিয় কে? নামটা চমকপ্রদ ভাবে লুকা মদরিচ।
কেন? ‘‘আমাদের টিমে মদরিচই একজন, যে বলটা আমায় পাস দিতে চায়। তাই ওর পিঠ চাপড়াই সব সময়। বাকিরা আমাকে আমার উপর ছেড়ে দেয়,’’ উত্তর রোনাল্ডোর। আর ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে তো কোনও নম্বরই দিলেন না প্রাক্তন রেড ডেভিল। ‘‘আমরাই যোগ্য দল হিসেবে জিতেছি। বেশি ভাল ফুটবলটা আমরাই খেলেছি,’’ বলেছেন রোনাল্ডো।
এখন কি তা হলে বিশ্রাম নেবেন বাড়ি গিয়ে? রোনাল্ডো জানাচ্ছেন, তিনি এতটাই ফিট যে, এখনই ড্রেসিংরুমে গিয়ে সিট-আপ করতে পারবেন। ‘‘আমি এখনই ড্রেসিংরুমে গিয়ে আয়নার সামনে সিট-আপ করতে পারি।’’ সব শেষে সাক্ষাৎকারের ক্লাইম্যাক্সে নিজের দুটো পায়ের প্রশংসা করতে ভোলেননি রোনাল্ডো। যে দুটো পা থেকে এ মরসুমে এখনও ষোলোটা গোল এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, যে পা তিনটে ব্যালন ডি’অর জিতেছে, সেই দিকে তাকিয়ে রোনাল্ডো বলেন, ‘‘আমার দুটো পা দেখুন, কী সুন্দর না?’’
এগারো নম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার ব্যাপারে ফেভারিট রিয়াল মাদ্রিদ হলেও যে মাঠে ফাইনাল হবে সেই সান সিরো তাদের জন্য অভিশপ্ত মাঠ। যেখানে আজ পর্যন্ত কোনও দিন জিততে পারেনি রিয়াল। তাতেও আত্মবিশ্বাসী গ্যারেথ বেল। ‘‘জিদান কোচ হয়ে আসার পরে গোটা দলকে বিশ্বাস জুগিয়েছে, আমরা পারব। আমরা খুশি কোনও গোল না হজম করেই ফাইনালে উঠেছি। নিজে গোল করেও খুশি। আশা করছি ফাইনালেও ভাল খেলব। দলকে সাহায্য করতে পারব।’’