মঞ্চ তৈরি ছিল। সঙ্গে ছিল উন্মাদনাও। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে চিৎকারটা
শুনলে মনে হতে বাধ্য, ভেতরে যেন নাইটরা ব্যাট–বল হাতে নেমেছেন। এমন
উন্মাদনা তো ইডেনে গম্ভীরদের ম্যাচ থাকলে হয়! কিন্তু তাল কাটল নাইট
যোদ্ধারা প্রবেশ করতেই। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলায় ১০ মিনিটের মধ্যেই অনুষ্ঠান
বন্ধ করে দিতে হল। একটি এফ এম চ্যানেল আয়োজিত নাইটদের কলেজ পরিক্রমার
অনুষ্ঠান ছিল সোদপুরের কাছে গুরুনানক ইনস্টিটিউটে। স্বাভাবিকভাবেই সেটাকে
কেন্দ্র করে সকাল থেকে কলেজের ছাত্র–ছাত্রীদের মধ্যে উন্মাদনার পারদ চড়ছিল।
সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রেডিও জকি অনুষ্ঠানও শুরু করে দেন। যেখানে
ছাত্র–ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আই পি এলে নাইটদের নিয়ে নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে
দিচ্ছিলেন। সঠিক জবাব দিতে পারলে মিলছিল পুরস্কার। সঙ্গে ছিল পছন্দের
ক্রিকেটারকে প্রশ্ন করার সুযোগ। প্রথম কিছুক্ষণ সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল।
ছন্দপতনের শুরু পীযূষ চাওলা, ব্র্যাড হগ, ক্রিস লিন, মনন শর্মাদের প্রবেশের
পর থেকে। প্রিয় ক্রিকেটারদের নাগালের মধ্যে পাওয়ার পর থেকেই শৃঙ্খলার
বাঁধনটা ক্রমশ আলগা হতে শুরু করে। ক্যাম্পাসেরই এক ছাত্রের প্রশ্নের জবাবে
পীযূষ তখন বলছেন, ‘আমাদের সামনে এখনও চারটে ম্যাচ রয়েছে। যার মধ্যে তিনটেই
ঘরের মাঠে। দুটো জিতলেই প্লে–অফের টিকিট নিশ্চিত। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য
থাকবে চারটেই জিতে টেবিলের শীর্ষে থেকে শেষ করা।’ কথাটা শেষ করতে না করতেই
চিলচিৎকারে কান ফেটে যাওয়ার উপক্রম। এক পা দু’পা করে এগোতেও শুরু করেছে
ভিড়ের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে লাগাতার তঁার দেশকে হারতে দেখে কীভাবে তঁার
ক্রিকেটার বনে যাওয়া সেই গল্প শুরু করেও পুরোটা বললেন না হগ। শুধু জানিয়ে
দিলেন, ‘নিজেকে নিয়ে একটা বই লিখছি। গল্পটা সেখানে থাকবে।’ এর পর পীযূষ
‘করব–লড়ব–জিতব’ সুর ধরতেই হুটোপাটি শুরু। মোবাইল উঁচিয়ে সকলে তখন রে রে করে
স্টেজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা দূর, ছাত্র–ছাত্রীদের আটকানোর কোনও
ব্যবস্থাই ছিল না কর্তৃপক্ষর তরফে। বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ না করলে বড়সড়
দুর্ঘটনাও হতে পারত। ক্রিকেটারদের ঘিরে ব্যক্তিগত বাউন্সার ছাড়া নিরাপত্তার
কিছুই ছিল না। তারাই কোনওরকমে পীযূষদের গাড়িতে তুলে দিলেন। এক অন্য যুদ্ধ
সেরে ময়দান ছাড়লেন নাইটরা।
বিকেলে আবার সেই একই খেলোয়াড়দের দেখা গেল ইডেনের মাঠে। শনিবার ঘরের মাঠে কে কে আর নামবে ধোনির পুণের বিরুদ্ধে। তার আগে এদিন খেলোয়াড়রা হালকা গা ঘামিয়ে নিলেন। তবে একজনকে দেখা গেল পুরোদমে বোলিং অনুশীলন করে চলেছেন ওয়াসিম আক্রমের তত্ত্বাবধানে। তিনি আর কেউ নন, কলকাতার নয়নের মণি সুনীল নারাইন। বোলিং নিয়ে কে কে আরের সমস্যা বিগত কিছু ম্যাচ ধরেই চলছে। আগের ২ ম্যাচে খেলেননি নারাইন। পাঞ্জাব ম্যাচের পর বলা হয়েছিল তঁার আঙুলে চোট লেগেছে। কিন্তু ঘরের মাঠে গুজরাত ম্যাচেও খেলানো হয়নি। বদলে খেলেন ব্র্যাড হগ। কিন্তু হগকে সরিয়ে ফের যে নারাইনের ওপরেই বাজি রাখতে চলেছে কে কে আর ম্যানেজমেন্ট, তার প্রতিফলন এদিনের অনুশীলন। ফলে, ২ দিন বিশ্রাম সেরে ফের স্বমহিমায় ‘মিস্ট্রি স্পিনার।’
বিকেলে আবার সেই একই খেলোয়াড়দের দেখা গেল ইডেনের মাঠে। শনিবার ঘরের মাঠে কে কে আর নামবে ধোনির পুণের বিরুদ্ধে। তার আগে এদিন খেলোয়াড়রা হালকা গা ঘামিয়ে নিলেন। তবে একজনকে দেখা গেল পুরোদমে বোলিং অনুশীলন করে চলেছেন ওয়াসিম আক্রমের তত্ত্বাবধানে। তিনি আর কেউ নন, কলকাতার নয়নের মণি সুনীল নারাইন। বোলিং নিয়ে কে কে আরের সমস্যা বিগত কিছু ম্যাচ ধরেই চলছে। আগের ২ ম্যাচে খেলেননি নারাইন। পাঞ্জাব ম্যাচের পর বলা হয়েছিল তঁার আঙুলে চোট লেগেছে। কিন্তু ঘরের মাঠে গুজরাত ম্যাচেও খেলানো হয়নি। বদলে খেলেন ব্র্যাড হগ। কিন্তু হগকে সরিয়ে ফের যে নারাইনের ওপরেই বাজি রাখতে চলেছে কে কে আর ম্যানেজমেন্ট, তার প্রতিফলন এদিনের অনুশীলন। ফলে, ২ দিন বিশ্রাম সেরে ফের স্বমহিমায় ‘মিস্ট্রি স্পিনার।’

No comments:
Post a Comment