![]() |
| Tamim Iqbal |
মুস্তাফিজের গৌরব ছুঁয়ে যাচ্ছে তামিম ইকবালকেও। বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার পাঁচ বছর আগে খেলেছিলেন নটিংহামশায়ারে। অভিষেক মানেই স্নায়ুচাপ, তার ওপর আবার বিরুদ্ধ কন্ডিশনে খেলা। ২০১১ সালের ১ জুলাই যেদিন অভিষেক হলো কাউন্টি দলে, কেমন ছিল তামিমের অভিজ্ঞতা? সেটি যে খুব একটা মধুর নয়, স্কোরই বলে দেয়, করেছিলেন ৮ রান। ‘সেদিন আসলে খুব নার্ভাস ছিলাম’—তামিমের স্মৃতিতে ভেসে উঠল ম্যাচটি।
তবে মুস্তাফিজ যে তাঁর সাসেক্স-অভিষেকে স্নায়ুকাতর ছিলেন না, সেটি তাঁর পারফরম্যান্সই বলে দেয়। চাপটাপ থাকলে তা মাঠের বাইরে, মাঠে বল হাতে নিলে ওসব তাঁকে স্পর্শ করে না। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন। পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও। তামিমের প্রত্যাশা, সামনের ম্যাচগুলোতেও সাফল্য ধরে রাখবেন মুস্তাফিজ, ‘ও যেটা করছে, সেটাই সবাই আশা করে। এর ধারাবাহিকতা সামনেও ধরে রাখবে নিশ্চয়ই।’
নটিংহামশায়ারের হয়ে ৫ টি-টোয়েন্টিতে ২০.৮০ গড়ে তামিম করেছিলেন ১০৪ রান, সর্বোচ্চ ৪৭। কাউন্টি দলে খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান বলছেন, সাসেক্সে খেলাটা মুস্তাফিজকে কাজে দেবে ভীষণ, ‘একজন খেলোয়াড় যখন ভালো খেলে তখন এক রকম, খারাপ খেললে আরেক রকম। এমন সুযোগ বা অভিজ্ঞতা খারাপ সময়ে অনেক কাজে দেয়। মুস্তাফিজ যত বেশি খেলবে, সেটা ওর নিজের জন্য যেমন, দেশের জন্যও অনেক ভালো।’
ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট টুর্নামেন্টে এমনিতেই রানবন্যা বইছে। টুর্নামেন্টে ২০০-এর বেশি রান উঠেছে পরশু পর্যন্ত এমন দলীয় স্কোরই আছে ১৫টি। অচেনা কন্ডিশন আর এমন ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে মুস্তাফিজ কি নিয়মিত সাফল্য পাবেন? উত্তর দিতে গিয়ে মুস্তাফিজকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ঝরালেন তামিম, ‘মুস্তাফিজ যতটা, তার চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে ব্যাটসম্যানরাই। আপাতত ওকে নিয়েই ভাবুক সবাই। আমার তো মনে হয়, মুস্তাফিজকে খেলাই এখন চ্যালেঞ্জ!’
মুস্তাফিজের প্রতিপক্ষ সব ব্যাটসম্যানের মনের কথাটাই কি বলে দিলেন তামিম?

No comments:
Post a Comment